গোলাপগঞ্জে হত্যা চেষ্টা মামলায় আ'লীগ-ছাত্রলীগসহ ৮ জনের নামে মামলা

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটের মাননীয় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ একটি হত্যা চেষ্টা মামলা (মামলা নং: ৩৩৮/২০২৪ইং) যাহা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (মামলা নং: ৯/১৫৩ তাং: ১৩/৯/২০২৪ইং) দায়ের করা হয়। মামলায় আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

মামলার বাদি উপজেলার পৌর এলাকার রণকেলী উত্তর (টিকরবাড়ি) গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে সেলিম আহমদ কাওছার৷ তিনি সিলেটের স্থানীয় একটি পত্রিকায় কর্মরত রয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী গীর্দ্দ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল আহাদ, ঘোগারকুল গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে লাভু আহমদ, ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর ছেলে সাদেক আহমদ, দাড়িপাতন গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে ফয়জুল ইসলাম ফয়সল, পৌরসভার কাউন্সিলর এম ফজলুল আলম, লাখাউরা গ্রামের ফকির মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ, বাঘা মাজরমহল্লা গ্রামের মৃত হাবিদ আলীর ছেলে বাহা উদ্দিন, দক্ষিণ বাঘা গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ৷

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই রাত পৌনে বারোটার দিকে মামলার আসামিরাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে পৌর শহরের চৌমুহনীতে অবস্থা করছিলো। এসময় মামলার বাদি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আসামি ও বাকি সন্ত্রাসীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দেখে তিনি তার ক্যামেরায় বন্দি করেন। ছবি তুলতে দেখে মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাদি সেলিম আহমদ কাওছারের ওপর হামলা চালায়৷ হামলায় গুরুতর আহত হন বাদি কাওছার। এসময় তার ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ক্যামেরা ভাঙচুর করেন আসামিরা। স্থানীয়রা বাদিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। 

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, এঘটনার পর ১৬ জুলাই বাদি সেলিম আহমদ কাওছার আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অভিযোগ না রেখে বাদিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। কারণ হিসেবে মামলার আসামিরা আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। 

এদিকে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আসামিদের নামোল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন সেলিম আহমদ কাওছার।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।